আর্জেন্টিনার শ্বাসরুদ্ধকর খেলা দেখতে গিয়ে ২ সমর্থকের মৃত্যু

আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার খেলা ছিল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টায়। ম্যাচটি ছিল আর্জেন্টিনার এবার বিশ্বকাপ আসরে থাকা না থাকার লাড়াই। তাই বাংলাদেশের আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দ্বিতীয়ার্ধের ৮৬ মিনিটে আর্জেন্টিনা যখন জয়সূচক দ্বিতীয় গোলটি করে তখন ওই দলেন দুই সর্মথক হার্টএ্যাটাকে মারা যান। তারা হলেন- রাজশাহী মহানগরীর বেলদারপাড়া এলাকার সেলিম এবং ময়মনসিংহের গফরগাঁও পৌর শহরের চর শিলাসী এলাকার সুলতান মিয়া।

রাজশাহী: মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা। রাজশাহী মহানগরীর বেলদারপাড়া এলাকায় বড় পর্দায় আর্জেন্টিনা দলের প্রিয় খেলোয়াড় লিওনেল মেসির খেলা দেখতে এসেছিলেন মহলদারপাড়া এলাকার সেলিম (৪৬)। খেলার শুরু থেকেই শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় ছিলেন তিনিসহ অনেক মেসির সমর্থক। কারণ নাইজেরিয়ার সঙ্গে খেলায় হেরে গেলে এবারের বিশ্বকাপ আসর থেকে বিদায় নিতে হবে প্রিয় দলটিকে। একই সঙ্গে বিদায় নিতে হবে পছন্দের খেলোয়াড় মেসিকেও। তাই খুব মনোযোগ সহকারে খেলা দেখছিলেন সেলিম।

খেলা শুরুর ১৪ মিনিটের মধ্যে নাইজেরিয়ার গোল পোস্টে বল প্রবেশ করান মেসি। এ সময় বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দে ফেটে পড়েন সেলিমসহ অন্য সমর্থকরা। দ্বিতীয়ার্ধে নাইজেরিয়াও একটি গোল দেয় আর্জেন্টিনাকে। এ সময় নিশ্চুপ হয়ে যান সেলিম। পরে আর্জেন্টিনা জয়সূচক গোল দেয়। সেই গোল উদযাপন করতে গিয়ে হাত তালি দিতে শুরু করেন তিনি। হাত তালি দিতে দিতেই সেলিম হার্টএ্যাটাক করেন। পরে অন্য লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়া হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে মহানগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি আমান উল্লাহ বলেন, খেলা দেখতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি। তবে কেউ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেনি।

গফরগাঁও (ময়মনসিংহ): আর্জেন্টিনার জয়সূচক গোলে উল্লাস করায় সময় গফরগাঁও পৌর শহরের চর শিলাসী এলাকার সুলতান মিয়া (৬০) নামের এক আর্জেন্টিনা দলের সর্মথক হার্টএ্যাটাকে মারা গেছেন।

জানা গেছে, সুলতান মিয়াসহ অনেকে উপজেলা প্রেসক্লাবে বসে টেলিভিশনে আর্জেন্টিনা বনাম নাইজেরিয়ার শ্বাসরুদ্ধকর খেলা দেখছিলেন। দ্বিতীয়ার্ধের ৮৬ মিনিটে আর্জেন্টিনা যখন জয়সূচক দ্বিতীয় গোলটি করে তখন তিনি উপস্থিত আরো অনেক আর্জেন্টিনা দলের সর্মথকের মতো গলা ফাটিয়ে চিৎকার করে উল্লাস করছিলেন। এ সময় তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। উপস্থিত লোকজন তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। সুলতান পেশায় ভ্যান চালক ছিলেন। তার স্ত্রী, এক ছেলে ও তিন মেয়ে রয়েছে।